মীমাংসার কথা বলে কৃষক লীগ নেতাকে থানায় নিয়ে গ্রেপ্তার

ঢাকা জেলা কৃষক লীগ নেতা গোলাম নবীকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা দেয়ার অভিযোগ করেছেন আসামির পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার শুনানি শেষে এ অভিযোগ করেন তারা।

এসময় ওই কৃষকলীগ নেতা নবীর মেঝ ছেলে উজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গাজিপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জিডি করায় পুলিশ মীমাংসার কথা বলে তার বাবাকে থানায় আটকে রেখে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

এ বিষয়ে প্রতক্ষ্যদর্শী ধামরাইয়ের ভারারিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মানসুর রহমান এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী হায়দার আলী হিরা বলেন, শুক্রবার নামাজ শেষে সানোয়ার নামে এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে জিডি করায় ধামরাই থানার এসআই পাভেল গোলাম নবীর কাছে আসেন। এসময় জিডি ওঠাতে গোলাম নবীকে সাথে নিয়ে আমরা কয়েক জন থানায় যাই। কয়েক ঘণ্টা থানায় থাকার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে জানানো হয় চাঁদাবাজির মামলায় গোলাম নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে যে মনোয়ারা বেগমের টাকার সুরাহা করতে গিয়ে বিপত্তি তাকেও করা হয়েছে মামলার আসামি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ারের বিরুদ্ধে জিডি করাতেই গোলাম নবীসহ তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এই নারী। তিনি জানান, পুলিশে নিয়োগের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। পরে গোলাম নবী নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন। সেজন্য তাকে মীমাংসার কথা বলে থানায় নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মিথ্যা মামলায় আমাকেও আসামী করা হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় আটক আসামি গোলাম নবীর আইনজীবী সুমন পারভেজ বলেন, ধামরাই থানার চাঁদাবাজির মামলার ফরওয়ার্ডিংয়ে আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে আরও ৮ মামলার কথা উল্লেখ করেন। যেখানে আশুলিয়া ও ধামরাই থানার দুটি মামলায় গোলাম নবী বাদী। অথচ সেই মামলায় তাকে (নবী) আসামি দাবি করে ফরওয়ার্ডিং দিয়েছেন। এ বিষয়টি নজরে আনলে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

মামলার বাদী কিভাবে আসামী হয় এবং দুপুরে থানায় ডেকে এনে বাদীকে রাতে দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে পুলিশের কেউ দোষী হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।