ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। কেউ কেউ বলছেন, ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অধিকার কারো নেই।
স্ক্যান্ডালের শুরু সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে। ওই রাতে ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে ফাহমি-মিথিলার অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর রাতে একাধিক ছবি ছড়াতে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে মানুষের অতিকথন ও বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। ফাহমি-মিথিলার ছবি ভাইরাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ‘এটা খুবই অসম্মানজনক। আমরা সত্যিই জানি না সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। আমি তরুণ অভিনেত্রী। দেশের বাইরে যাই। সেখানে গিয়ে ছোট পোশাক পরে ছবি আপলোড করি। কমেন্টে কী জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়! শাড়ি পরে ছবি দিলেও গালাগালি। শুধু আমি নই, জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রীদের ছবির নিচেও বাজে কমেন্ট করা হয়। সেটা যদি সুন্দর ছবিও হয়, তবুও।’
ভাবনা আরও বলেন: ‘আমার কাজ অভিনয় করা। এটা আমার পেশা। তার মানে তো এই নয় যে আমি খারাপ মানুষ। আমরা আসলে মানুষকে সম্মান করতে জানি না। আগে সবাই অভিনয়শিল্পীদের সম্মান করত, এখন কেউ করে না। এটা দুঃখজনক।’
ব্যক্তিগত ছবি যারা ছড়িয়ে দেয়, তাদের রুচি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই অভিনেত্রী।
মিথিলার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে ভাবনা বলেন: মিথিলা অনেক বড় অভিনেত্রী। গুণী মানুষ। শুধু তা-ই নয়, তিনি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার। এ ছাড়া তিনি একজন মা। হ্যাকার বা যারা ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়েছে, তারা জঘন্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এসবে আসলে মিথিলা আপুর কিছুই হবে না। তবে একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত, আমরা মানুষকে সম্মান দিতে না জানি, অন্তত যেন কারও ক্ষতি না করি। আর এভাবে চলতে থাকলে তো ফেসবুক ছেড়ে দিতে হবে। কী দরকার ফেসবুক ব্যবহার করে গালি শোনার?
ভাবনা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লেখেন: কারো ইনবক্সের কথা বা তথ্য প্রচার করা—যে করেছে, সে কোনো মানুষ হতে পারে না। তাকেও কোনো মেয়ে জন্ম দিয়েছে। অন্য মানুষের ছবি ভাইরাল করে তোর লাভ কোথায়? আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করতে শিখিনি।
ভাইরাল ছবির বিষয়ে অবশ্য পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও মিথিলার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি। তবে মিথিলা ও ফাহমির অন্তরঙ্গ হওয়ার বিষয়টি বিনোদন অঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
এর আগে কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে একাধিকবার মিথিলাকে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে মিথিলা ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
গত মার্চে সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের সূত্রে মিথিলার সঙ্গে সৃজিতের সখ্য গড়ে ওঠে। তার পর থেকেই তাদের গুঞ্জন চলছে। এ নিয়ে কলকাতার গণমাধ্যমগুলোতেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এবার পরিচালক ফাহমির সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
২০০৬ সালের ৩ আগস্ট কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান আইরা। পরে দু’জনের বনিবনা না হওয়ায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।