
ভোলার সদর ও লালমোহন উপজেলায় পানিতে ডুবে তিন শিশু মারা গেছে। ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নে পাঁচ বছরের শিশু মো. সাফওয়ান এবং লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নে মো. জুনায়েদ (৭) ও মো. শাহিদুর রহমান (৮) পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। আজ সোমবার বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘারহাওলা গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সাফওয়ান কাউকে কিছু না জানিয়ে পুকুরে যায়। পুকুরে পা পিছলে পড়ে পানিতে ডুবে গেলেও পরিবারের কেউ টের পাননি। পরে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক সাফওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালে দেখা যায়, সাফওয়ানের দাদা, মা-বাবা বিলাপ করছেন। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এদিকে লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগিচা গ্রামের উকিলবাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায় দুই শিশু—জুনায়েদ ও শাহিদুর রহমান। জুনায়েদ ওই বাড়ির মো. রাকিবের ছেলে, শাহিদুর একই বাড়ির আনাছের ছেলে। শিশু দুজন সম্পর্কে খালাতো ভাই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উকিলবাড়ির বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক পুকুরে গোসল করতে নামলে পায়ে ডুবন্ত মানুষের অস্তিত্ব টের পান। পরে দেখেন, মৃত শিশু। তাঁর ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা অপর শিশুকেও পাচ্ছিল না। পরে পুকুর থেকে তার লাশও উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিক তাদের লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই বাড়ির দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যু মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়েছি। কোনো অভিযোগ না থাকায় দুই শিশুর মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।