

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার কামাড়পট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দম্পতি।
তাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে শম্ভুপুর ইউনিয়নের গন্ডা বাড়ির বাসিন্দা মো. রুবেলকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া একদল সন্ত্রাসী তাকে আটকে রেখে চাঁদার দাবিতে নির্যাতন চালায়।
রোববার সকালে রুবেলের প্রথম স্ত্রী তাকে ছাড়িয়ে নিতে আসলে সন্ত্রাসীরা ৪ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুবেলকে রড ও এসএস পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে দুপুরের দিকে রুবেলকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পর তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিনের নাম উঠে এসেছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “আমি তাদের ‘বাবা’, ‘ভাই’ বলে ডাক দিয়েও রক্ষা পাইনি। পায়ে ধরেও লাভ হয়নি।”
ধর্ষণের পর ওই দম্পতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
রোববার সন্ধ্যায় ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বাজারে নিয়ে যান। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।