বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজন অভিভাবক ছিলেন। তার এ প্রয়াণে জাতির বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শূন্যতা অনুভব করছি। যখন আমরা এক রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি, তখন তার শূন্যতা আরও বেশি অনুভব করব।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের তৃতীয় জানাজায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এ জানাজা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাদের নেতা ও দেশের অন্যতম জাতীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জানাজায় শরীক হয়েছি। যিনি ছাত্রজীবন থেকে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ। আজ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি শুধু রাজনীতিক ছিলেন না রাজনীতিক কিংবদন্তি ছিলেন। তিনি অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তাঁর মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সেখানে প্রবাসীরা তার প্রথম জানাজায় অংশ নেন। পরে মওদুদের মরদেহ গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মওদুদ আহমদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত মরহুমের মরদেহ রাখা হয় সেখানে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দল ও সংগঠন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মওদুদ আহমদের মরদেহ নেওয়া হয় তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টে প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে তৃতীয় জানাজার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হয়। নয়াপল্টনে তৃতীয় জানাজা শেষে মওদুদের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালীর উদ্দেশে নেওয়ার কথা রয়েছে।
বসুরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাঠে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে।