বিপ্লবীদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার পুনঃগঠনের দাবিতে বিক্ষোভ

রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধ্বংসকারী বিতর্কিত ও ব্যর্থ ৫ উপদেষ্টাকে অপসারণ, বিপ্লবী যোদ্ধাদের নিয়ে সরকার পুনঃগঠনসহ আওয়ামী দোসর চিহ্নিত আমলাদের বহিষ্কারের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিপ্লবী ছাত্র—শ্রমিক জনতার প্রধান সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব হাবিলদার বলেন, ড. ইউনূস সরকার বিপ্লবীদের সরকার হতে পারেনি। গত ৩ মাসে ইউনূস সরকার জনগণের পক্ষে সরকার পরিচালনায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে বাজার সিন্ডিকেট উৎখাত না করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আওয়ামী ও ভারতপন্থী অযোগ্য লোকজনকে দিয়ে সরকার গঠন, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলাদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী পুনর্বাসন করে গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র—শ্রমিক, প্রবাসীদের এবং আপমর জনসাধারণকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে তার সরকার। সেই সুযোগে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ঢুকে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বিতর্কিত ও ব্যর্থ ৫ জন উপদেষ্টাকে অপসারণ করে বিগত ১৬ বছরের বিপ্লবী যোদ্ধাদের নিয়ে সরকার পুনঃগঠন পূর্বক দেশ পরিচালনা করতে হবে। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করা কিংবা উপদেষ্টা বানিয়ে দেশ পরিচালনার জন্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়নি।

বক্তারা আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় যদি বিপ্লবী সরকার গঠন না করা হয় তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধ্বংসের অভিযোগ করা হয় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাকেসহ উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির কবির খান, মোস্তফা সারয়ার ফারুকী, সুপ্রদীপ চাকমা এবং সেখ বশির উদ্দিনের অপসারণ দাবি করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র—শ্রমিক-জনতার প্রধান সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব হাবিলদার। বক্তব্য রাখেন যুবনেতা মহসিন রেজা, গণনেতা ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং চাক, প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দীন, শ্রমিক নেতা মাহবুবুল শিপন, শ্রমিকনেতা বরকতউল্লাহ নিয়াজ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, সাংবাদিক নাঈম পারভেজ অপু, ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আনন্দ আহমেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক হারুনূর রশিদ, সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের নেতা ফুয়াদ, প্রবাসী সিয়াদাত রাজ, গণনেতা হারুন খান, সমতা পার্টির সভাপতি হানিফ বাংলাদেশী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উসি প্রু, গণনেতা তারেক রহমান প্রমুখ।