বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়, সরকারের সিদ্ধান্ত বদল

গত ১২ই জুলাই সার্টিফিকেট সংগ্রহের বাধ্যবাধকতার ঘোষণা দেয়া হলেও নিয়মটি কার্যকর হয়েছিল মোটে এক সপ্তাহ আগে।

এর দুতিন-দিন পরেই মিথ্যা তথ্যসম্বলিত সনদ নিয়ে বিদেশ ইংল্যান্ডে যাওয়ার ঢাকার বিমানবন্দরে ধরা পড়েন দেশটির সরকারদলীয় একজন প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর কন্যা। এই ঘটনাটি বাংলাদেশে বিরাট সমালোচনা সৃষ্টি করে।

এই প্রেক্ষাপটে এমন খবরও বের হয় যে, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভুয়া সনদ দেখিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এখন বলছেন, “এখন শুধুমাত্র যে দেশ থেকে চাওয়া হবে শুধু সেই দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট নিলেই হবে”।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। যে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজকেই প্রজ্ঞাপনও জারি করা হবে।

২৩ জুলাই থেকে বাংলাদেশ থেকে সকল বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করার পর এই কয়েক দিনেই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিদেশগামীদের।

কারণ সারাদেশে মোট ১৩ জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৩ টি বুথে বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার বুথ রয়েছে। আর ঢাকায় রয়েছে মোটে একটি।

৪৮ ঘণ্টা আগে সেখানে নমুনা দেয়ার কথা থাকলেও সময়মত তা হাতে না পাওয়ায় অনেকেই ফ্লাইট ধরতে পারছিলেন না।

পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ না থাকার কারণে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। লম্বা লাইন দিতে হচ্ছিল যাত্রীদের।

তাছাড়া যে সার্ভারে পরীক্ষার ফল আপলোড করতে হয় সেটি প্রায়শই ডাউন থাকার কারণে দেরি হয়েছে, বলে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

দুই দিন আগেই সার্ভার ডাউন থাকার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট ধরতে পারেননি বেশ কটি ফ্লাইটের অনেক যাত্রী।