প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য তার সরকারের দেয়া সবধরনের সুযোগের সর্বোচ্চ সুবিধা লুফে নিতে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিনিয়োগকারীরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ কাঙ্খিত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য আমরা সম্ভাবনাময় ১১টি খাত চিহ্নিত করেছি। এগুলো হচ্ছে অবকাঠামো, পুঁজিবাজার, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিকস উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাট-বস্ত্র এবং ব্লু-ইকোনমি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ জনগণের রায় পেয়ে সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আকর্ষণীয় প্রণোদনার মাধ্যমে উদার বিনিয়োগ নীতি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের মধ্যে ভৌগলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থার ফলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ৬০ শতাংশেরও বেশি পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় শিল্প নীতির পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ পাশ করেছে, প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী শিল্পের বৃদ্ধির জন্য বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণের কথা বিবেচনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছে এবং পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি।