বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়নে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস)-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিস্টেন ড্যামকাজার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজিজেস অফ দ্য চেস্ট অ্যান্ড হসপিটাল (এনআইডিসিএইচ) পরিদর্শনকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউএনওপিএস গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে দেশের ২৯টি সরকারি হাসপাতালে অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া অংশীদারদের সহযোগিতায় জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পিএসএ (প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন) প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের কোভিড-১৯ জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এনআইডিসিএইচসহ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, সারা বাংলাদেশে কৌশলগতভাবে বিভিন্ন পার্টনার হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মানুষের জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যায়। অংশীদারদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায়, ইউএনওপিএস অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সরবরাহ সংগ্রহে সহায়তা প্রদান করেছে এবং অক্সিজেন থেরাপি ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নত করেছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা কোভিড-১৯ মহামারির মতো স্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য শক্তিশালী হয়েছে।

পরিদর্শনের সময় ক্রিস্টেন ড্যামকাজার বলেন, “ইউএনওপিএস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে সহজলভ্য ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে, আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে বাংলাদেশকে তার স্বাস্থ্যসেবা লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারছি।”

কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ বলেন, “এই উদ্যোগটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনবে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সিলিন্ডার-ভিত্তিক অক্সিজেনের ওপর নির্ভর করে আসছিলাম, যা প্রায়ই অবিশ্বস্ত, ব্যয়বহুল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই পিএসএ (প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন) প্ল্যান্টগুলোর মাধ্যমে, ২৯টি সরকারি হাসপাতাল এখন নিজেদের অক্সিজেন সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে বাহ্যিক সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরতা কমেছে এবং গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় নিশ্চিততা তৈরি হয়েছে।”