বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে শনিবার রাতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় নিমজ্জিত কার্গোটির ৭ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার পরে ৪ শ্রমিক একটি ট্রলারযোগে নিরাপদে তীরে আসলেও বাকি সাতজনের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ।
নিখোঁজ ওই শ্রমিকরা নদীতে নিখোঁজ নাকি উপরে উঠেছেন সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার চার শ্রমিক এখন নৌ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়: বরগুনা থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে বরিশাল নৌবন্দরের অদূরে কীর্তনখোলা নদীতে এম ভি শাহরুখ-২ এর সঙ্গে সংঘর্ষে হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া নামের একটি কার্গো মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিমেন্টের কাঁচামাল বহনকারী কার্গোটি ডুবে যায়। এবং লঞ্চটির সামনের দিকের তলা ফেটে গেলে চরকাউয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এসময় কার্গোটিতে থাকা ১১ শ্রমিক থাকলেও একটি ট্রলারযোগে চারজন তীরে আসলে নৌ-পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। বাকি ৭ সাতজন নদীতে নিখোঁজ নাকি উপরে উঠেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হচ্ছে। নিমজ্জিত কার্গোর স্টাফদের খোঁজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত নদীতে পড়ে নিখোঁজ বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তবে কার্গোর শ্রমিকদের বরাত দিয়ে সর্বশেষ রাত ১টার খবরে নৌ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন: বাকি সাত সদস্য দুর্ঘটনার পরপরই ট্রলারযোগে তীরে উঠেছে। কিন্তু তারা কোথায় গেছেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।