সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে পুলিশ বাহিনী এখন প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ ও মানুষের আস্থা অর্জনের বাহিনী হিসেবে পরিণত হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বসুরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে। আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।’
বিভিন্ন দুর্যোগের সময় পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় পুলিশ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। যখন মানুষ আত্মীয় স্বজনের লাশ ফেলে গেছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন করেছে। বিএনপি যেভাবে ধংসাত্মক কাজ, অগ্নিসন্ত্রাস ও পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কত মানুষকে যে হত্যা করেছে তার হিসেব নেই। তখন পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছে।’
পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা সরকারে আসা পর দেখি পুলিশের বাজেট মাত্র চারশ কোটি টাকা। আমরা এটাকে আটশ কোটি টাকা করে দিলাম। ট্রাস্ট ফান্ড করে ৫ কোটি সিড মানি করি। স্টাফ কলেজ করেছি ট্রেনিংয়ের জন্য। পুলিশের ঝুঁকিভাতা আমরা প্রবর্তণ করি। পুলিশের জন্য দুটি হেলিকপ্টার কেনারও প্রক্রিয়া চলছে।’