

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা কোনো প্রার্থী নির্বাচনি প্রচার শুরুর আগে পরিকল্পনা জমা দেওয়াসহ প্রচারে মানতে হবে সাত নির্দেশনা।
ইসি কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনি পরিবেশকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং আইনসম্মত রাখার জন্য এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে আচরণ বিধিমালায়। এতে প্রচারের আগাম পরিকল্পনা জানার কারণে একদিকে যেমন প্রার্থীদের সমান সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি জনগণের চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হবে। আচরণ বিধিমালা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গেজেট প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা জারি করা হবে।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় জনসভা, পথসভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে যে সাতটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. সমান অধিকার: নির্বাচনকালীন প্রচারণায় সকল প্রার্থী সমান অধিকার লাভ করবেন। তবে তারা একে অপরকে বাধা দিতে বা ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে পারবেন না।
২. প্রচার পরিকল্পনা: নির্বাচন প্রচারণা শুরুর আগে, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের কাছে পরিকল্পনা জমা দিতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩. লিখিত অনুমতি: জনসভা বা সমাবেশের আয়োজন করতে হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং স্থানীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
৪. পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা: জনসভা বা পথসভা আয়োজনের ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে হবে, যাতে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে পারে।
৫. চলাচলে বিঘ্ন: জনসভা বা সমাবেশ এমন জায়গায় করা যাবে না যেখানে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যেমন সড়ক বা মহাসড়ক।
৬. গোলযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: যদি কোনো ব্যক্তি বা দল জনসভায় গোলযোগ সৃষ্টি করে, তবে আয়োজকদের পুলিশকে জানাতে হবে এবং পুলিশ ব্যবস্থা দেবে।
৭. বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ: কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে জনসভা বা প্রচার চালাতে পারবে না।


