

নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, “নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না, সবকিছু শেষও হবে না। কিন্তু জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। আর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। বাকি সব সংস্কার সময়সাপেক্ষ।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে আন্দালিব বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলিনি, আপনি বলেছেন। এখন আপনার সেই ওয়াদা আপনাকেই রাখতে হবে। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসেনি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনার ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু এখন সংসদ নেই, তাই আপনার ক্ষমতার উৎস রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী—এই জনগোষ্ঠী। আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সেই সংস্কার কি সাধারণ মানুষের প্রস্তাব থেকে এসেছে? আজ দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা এনবিআরের চাপে হাহাকার করছে—এসব বিষয়ে আপনি কি কোনো সংস্কারের কথা বলেছেন?”
বিজেপি চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন, “আজ কেন সেনাবাহিনীকে মুখ খুলতে হয়? কেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে? এই দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজ করিডরের গুজবে দেশের রাজনীতি বিভ্রান্ত—এই বিভ্রান্তি কে ছড়াচ্ছে? আমরা তো বিভ্রান্তি তৈরি করিনি।”
তিনি বলেন, “১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আপনি যদি তাদের সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। আমরাও রাখব। তবে মনে রাখতে হবে, রাজনীতি আর অর্থনীতি এক জিনিস নয়। পলিটিকসে দুই আর দুই হতে পারে বাইশ, কিন্তু অর্থনীতিতে দুই আর দুই হয় চার।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম এবং গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।