
পটুয়াখালীর বাউফলে দাখিল পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা বই সরবারাহের চেষ্টা করে জিহাদুল (১৭) নামের বহিরাগত এক কিশোর ও তার সহযোগী। এসংক্রান্ত ভিডিও হাতে এলে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ওই কেন্দ্রে যায় গণমাধ্যম কর্মী যমুনা টেলিভিশনের বাউফল প্রতিনিধি’ও বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য রইসুল ইসলাম ইমন। তখন কেন্দ্রের ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিককে বাধাগ্রস্ত করে এবং হেনস্তা করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত কিশোর জিহাদুল, জোবায়ের ওরফে আইয়ুবসহ কেন্দ্রের একজন পরীক্ষার্থী ও কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য।
রবিবার (২৭এপ্রিল) উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে৷
গণমাধ্যমের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাপা শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়ে জিহাদুল নামের বহিরাগত কিশোর ও তার একজন সহযোগী ইংরেজি বিষয়ের বই নিয়ে পেছনের গেট দিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করছেন। কিছু সময় পরে তারা বেড়িয়ে আসছেন। ভিডিও দেখার পর পরীক্ষা কেন্দ্রে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় যমুনার প্রতিনিধি। এসময় হঠাৎ ওই কেন্দ্রের ভিডিও পরীক্ষার্থী জোবায়ের, বই হাতে থাকা সেই কিশোরসহ কিশোর গ্যাং এর ৫ সদস্য যমুনার প্রতিনিধিকে বাধাগ্রস্ত করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা যমুনার প্রতিনিধিকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে। কৌশলে তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় টিম যমুনার সদস্য। বই সংগ্রহের চেষ্টায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব ইব্রাহীম হাবিব। তিনি বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাওয়া ওই কিশোর আমাদের পরিচিত নয়। হয়তো পরীক্ষার আগে পরে তিনি এই কাজ করতে পারেন। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেউ কোনো নকল সরবরাহ করতে পারেনি।”
পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমিতো পরীক্ষার কক্ষে ঘুরে দেখছিলাম পরীক্ষা কিভাবে হচ্ছে। আমিতো বাহিরে দেখি নাই এবং আমিতো তাকে চিনিও না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের কার্যালয়ে গেলেও তিনি ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি।