জোর করে জেলেদের মাছ বিক্রি করেন মনপুরা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব

ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবের নামে জোরপূর্বক জেলেদের মাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও দখল দারীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও তার ছোট ভাই হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, মান্নান হাওলাদার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হলেও তার মেয়ের জামাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আওয়ামী লীগের এই নেতার সমস্ত পারিবারিক ব্যবসা এখন মান্নান হাওলাদার ও তার ভাই হোসেন হাওলাদার পরিচালনা করেন। ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের হাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাঝের ঘাট নামক এলাকায় যুবদল নেতা রাশেদ পালোয়ানের সাথে মাছ কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দাদন (মাছ শিকারের উপকরণ কেনার জন্য ঋণ) না নেওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জেলেরা এতদিন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান জাকিরের ভয়ে তার ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা ফারুকের গদীতে মাছ দিতে বাধ্য হয়েছিল। তারা নানা সময়ে জেলেদেরকে শারীরিক নির্জাতন করত। আওয়ামী লীগ নেতাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখতে ও ব্যবসা চালাতে এগিয়ে আসেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হোসেন হাওলাদার।

আরও পড়ুন: জাকিরের শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, ঢাকায় বাড়ি-ফ্ল্যাট

মুঠোফোনে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হোসেন হাওলাদার উক্ত গদীতে মালিকের আসনেই বসে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জেলে বলেন, স্বাধীনভাবে মাছ বিক্রি করে তাদের মাছের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার লক্ষ্যে রাশেদ পালোয়ানের গদীতে বিক্রি করতে গেলে সেখানে হোসেন হাওলাদার ওই সমস্ত জেলেদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে জোর করে তাদের কাছ থেকে মাছ ছিনিয়ে আনার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাধারণ জেলেরা আক্ষেপের সুরে বলেন আগে আওয়ামী লীগের লোক নির্যাতন করত এখন বিএনপির লোকেরা করে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে হোসেন হাওলাদারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।