ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অপবাদে দুই শিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ তার সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার সরিফা খাতুন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তারই প্রতিবেশী গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আর ৭ জন মিলে গৃহবধুর ছেলে শিশু সুমন (১৩) ও তার ভাতিজা কমিরুল ইসলাম (১৬) আটক করে। এরপর তারা এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশে হাত-পা বেঁধে ওই দুই শিশুকে মারপিট করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা এবং মারপিটের সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে। পরে ভিডিও চিত্র গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা মিলে সরিফা খাতুনকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় সাথে অভিযুক্তদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, মামলাটি আমরা তদন্ত করছি এবং মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।