চালের বাজারে অস্থিরতা কমানোর জন্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। উল্টো দেশি ও আমদানি করা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রায় সমান দরে। এমনকি আমদানি করা চালের মান নিয়েও ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। তবে কি এর পেছনে কোনো সিন্ডিকেট রয়েছে?
খাদ্যমন্ত্রী বলছেন, হ্যাঁ, সীমান্তে চালান আটকে পড়ার সুযোগে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তবে সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে চারশ’ আমদানিকারককে চাল আনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তবে এর কোনো প্রভাব চালের বাজারে পড়েনি। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের চালে মণপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অথচ দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানি হচ্ছে।
চাল বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আমদানি করা চাল পর্যাপ্ত না থাকায় দাম তেমন কমেনি। তবে এ চালের মান নিয়েও ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। এবার যে চাল আসছে সেটা একটু মোটা, আর দেখতেও তেমন ভালো না। কিন্তু সুযোগ বুঝে এই চালের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের কেনাই ৫৭/৫৮ টাকা।
শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার পরও যদি বাজার স্থিতিশীল না হয়, তাহলে কীভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে? এজন্য মনিটরিং জোরদার করার কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সীমান্তে চালের ট্রাকগুলো ছাড়াতে পারছে না পাথরের ট্রাকের ঠেলায়। এরা এতটা চালাক যে, যখন দেখছে বর্ডারে চাল আটকা পড়ে যাচ্ছে, ইজিভাবে ছাড় হচ্ছে না, তখন এই ফাঁকে যে ক’দিন চালের দাম বাড়ানো যায় তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে পোর্টে অফিস বসানো হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। চালের দাম ঠিক রাখতে সীমান্ত থেকে চালের চালান ছাড় করতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।