চাঁদবাজির অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার 

আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ১৭ বছর তুমুল দাপটের সাথে কাটিয়ে এখন যুবদলের নেতা সেজে ত্রাস তান্ডব চালানো ফরিদ গাজীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মারধর, ভাংচুর এবং অন্যের গাছ ও পুকুরের মাছ লুট করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে  ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এর’আগে দুপুরে ভুক্তভোগীরা থানায় এজাহার দিলে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ একটি ইউনিট।
এজাহারে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, বিলবিলাস গ্রামে বাসিন্দা অব. সেনা সদস্য মিজানুর রহমানের সাথে তার ভাতিজা কবির খানের জমি সংক্রান্ত সালিশ ও মামলা চলমান আছে। প্রশাসনের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টাও হয়েছিলো। মিজানুর ঢাকায় থাকায় কবিরের দাবিকৃত ভাগবন্টনের দাবি পূরণে বিলম্ব হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে কয়েকমাস পরে আওয়ামী আমলের লাঠিয়াল ও বর্তমান যুবদল নেতা ফরিদ গাজীকে ব্যবহার করে মিজানুরের পরিবারকে মারধর করে কবির খান।  এদিকে, এই সুযোগে দাপটে ফরিদ ও কবির মিলে মিজানুর ছাড়াও বাড়ির অসহায় কয়েকটি পরিবারের ঘরে থাকা বৃদ্ধ সদস্যকে মারধর করে তাদের মাছও লুট করে নেয়। বুধবার গভীর রাতে একই কাজ করেন তারা। সরেজমিন তদন্ত করে  দুপুরে ফারিদ গাজীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, সব সরকারের আমলেই  বিভিন্ন ব্যানারে  ঢুকে চাঁদাবাজি, মারধর, লুটপাট চালায় ফরিদ গাজী। তার বেপরোয়া লাইফ স্টাইল ও উশৃঙ্খল চলাফেরার কারণে তিনি সবার কাছেই আতঙ্ক। ভাড়ায় ও ভাগের চুক্তিতে মারামারি হুরোহোরি করতেন ফরিদ। নিজেকে উন্মাদ বলেই প্রচার বাড়ান তিনি৷ আগেও ফরিদ গাজীর বিরুদ্ধে এধরনের কয়েকটি অভিযোগ থানায় দাখিল হয়েছে ও গণমাধ্যমে প্রচারও হয়েছে।
এদিকে, দুপুরে এজাহার জমা দিতে গেলে সাবেক ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ কয়েকজন আটক ফরিদ গাজীকে আসামি থেকে বাদ দেয়ার জন্য চাপ দেয় বলে অভিযোগ করে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী মিজানুরের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম। সেসময় থানা চত্বরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা দেখা পায় ওই নেতাদের। থানায় বসেই অভিযুক্ত ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের আগামী ২০ তারিখে সালিশের তারিখ আছে। আগেও সালিশ হয়েছে। যেহেতু পারিবারিক জমির ঝামেলা, তাই বলেছি দেখেন নিজেরা সমাধান করা যায় কিনা। শুধু এইটুকুই অনুরোধ করেছি। এজাহার ওঠাতে বলার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
নিজ দলের ফ্যাসিবাদী দোসরদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি গ্রেফতার ফরিদ গাজীর।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন স্বদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাকি আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।