চতুর্থ ধাপে ৮৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে রোববার (২৬ ডিসেম্বর)। এদিন সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় ইভিএমে ভোট হবে সেসব এলাকায় মক ভোটিংও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচনকে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৮৩৮ ইউপির মধ্যে ৮০০ ইউপিতে ব্যালট এবং ৩৮টিতে ইভিএমে ভোট হবে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরও তারা থাকবেন। সেই সঙ্গে মাঠে রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইউপি ভোটকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এবার।
পরিস্থিতি সামলাতে নির্বাচন কমিশন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। পাশাপাশি সব পক্ষের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে আগের তিন ধাপের ভোটের আগে, ভোটের দিন ও পরে অর্ধশতাধিক লোকের প্রাণহানির তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। এ কারণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইসি।
চতুর্থ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৫ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান ৪৮ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১১২ জন ও সাধারণ সদস্যা ১৩৫ জন। এ ধাপের ভোটের লড়াইয়ে আছেন ৪৩ হাজার ৪৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান ৩৮১৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৯৫১৩ জন ও সাধারণ সদস্য ৩০১০৬ জন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্তত এক ডজন রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। ভোটার সংখ্যা ১,৬২,৭৪,৬৬০ জন। ভোটকেন্দ্র ৯২২৪টি; ভোটকক্ষ ৪৯,৮৩২টি।
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ইউপিতে প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর এবং তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোট হয়।
চতুর্থ ধাপে রোববার ৮৩৮ ইউপিতে ভোট হবে। এরার পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি এবং ৬ষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ২১৯ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।