প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও গ্যাস থেকে ধীরে ধীরে ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ভর্তুকি একটি গুরুতর বিষয়। আমাদের অবশ্যই এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে ভর্তুকি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন একটি বিশাল ভর্তুকি দেয়া হয়। আমাদের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভর্তুকি শুধু একটা জিনিস নয়… কিছু লোক এটি (ভর্তুকি) পাচ্ছেন এবং কেউ কেউ এর জন্য অর্থ প্রদান করছেন।
ভর্তুকি ব্যবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বৈঠকে কৃষি ভর্তুকি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। কারণ এটি উত্পাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত এবং গ্যাস ভর্তুকি সম্পর্কে কথা বলেছেন। কারণ এগুলো কেবল দরিদ্ররা নয়, শিল্পও ব্যবহার করে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এয়ার কন্ডিশনার চালান, যা ব্যয়বহুল।
তিনি আরও বলেন, আন্তরিকতার অভাবে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।
বিদ্যুতের বিলাসবহুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমানোর কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিম্ন আয়, কৃষক এবং দরিদ্রদের মতো সঠিক জায়গায় ভর্তুকি দেয়া উচিত।