আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখন মুক্ত, কারণ তিনি নিশ্চিতভাবে সরকারি হেফাজতে নেই।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তিনি (খালেদা) অবশ্যই মুক্ত। তিনি স্পষ্টতই আমাদের হেফাজতে বা সরকারি হেফাজতে নয়। ফলে তিনি অবশ্যই তার ইচ্ছামতো যে কোনও জায়গায় চিকিৎসা পেতে পারেন এবং তিনি তা করছেন।
‘খালেদা জিয়া এখনও সরকারি হেফাজতে আছেন’ বলে সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার করা মন্তব্যের জবাবে সংসদে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন।
রুমিন বলেন, নেত্রীর কিছু হলে তার পুরো দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। কারণ তিনি গত তিন বছর ধরে সরকারি হেফাজতে রয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী এর আগে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির একই বিধানে (ধারা ৪০১) একটি ফৌজদারি মামলা পুনর্বিবেচনার সুযোগ না থাকায় বিদেশে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে যেতে হবে।
রুমিন বলেন, কিন্তু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় এমন কিছু নেই। এই বিধানটি সরকারকে এই বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার সীমাহীন কর্তৃত্ব দেয়।
বিএনপি সাংসদ মোশারফ হোসেন বলেছেন, সরকার যেহেতু যুক্তি দিচ্ছে যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিতে আবার কারাগারে যেতে হবে, তাই সরকার তার বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
এসব মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে তিনি যা বলেছেন তার ওপর এখনও অটল রয়েছেন। একটি নির্ধারিত মামলার বিষয়ে আর কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না।
তিনি বিএনপির সংসদ সদস্যদকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনি ধারা ৪০১ (সিআরপিসি) নিয়ে কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নিয়ে আমার মতভেদ রয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্ত করা হয়েছে এবং তার ওপর নতুন দাবি মেনে নেয়া যায় কি না সরকার বিবেচনা করবে।