একনজরে জাতীয় দৈনিকের আলোচিত কিছু খবর

 

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে এমন ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারের’ নামে অন্তত ১ হাজার ৯২৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার এই হিসাব বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

  • প্রথম আলো
  • আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিচার ছাড়াই ১৯২৬ জনকে হত্যা

এভাবে মানুষ মারার প্রতিটি ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে প্রায় একই রকম গল্প বলা হয়। এসব যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সেটা শেখ হাসিনা সরকার ও তাঁর প্রশাসন আগাগোড়াই অস্বীকার করে গেছে। তবে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরের ক্রসফায়ারের তথ্য সংরক্ষণ করেছে। এ–সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রথম আলোর হাতে এসেছে সম্প্রতি। এতে দেখা যায়, এই সাত বছরেই ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২৯৩ জন। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীও রয়েছেন।

  • আজকের পত্রিকা
  • মন্ত্রী সুজনের স্বজনদের দাপট ছিল পঞ্চগড়জুড়ে

জেলা আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এলাকায় সিন্ডিকেট, জমি দখল, বিদ্যালয় কমিটি নিয়ন্ত্রণ, সুদ, জুয়া নিয়ন্ত্রণ; বিরুদ্ধমত দমন করতে নির্যাতন—সবই করেছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার অধিকাংশ স্থাপনাও করেছেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে। বলা হচ্ছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কথা। সরকার পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর নির্যাতিত অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সুজন ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জেলার সর্বশেষ কমিটিতে তাঁর পরিবার ও স্বজন রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। তাঁদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।

  • যুগান্তর
  • সংবিধান সংশোধন না পুনর্লিখন সিদ্ধান্ত আলোচনার পর

সংবিধান সংশোধন, পুনর্বিন্যাস নাকি পুনর্লিখন হবে-তা রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হচ্ছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ওয়েবসাইট খোলা হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবে না। অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে। পতিত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ও সমর্থনকারীদের সুপারিশ নেবে না কমিশন। রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

  • মানবজমিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে মহারণ কাল

কাল মহারণ। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পদের লড়াই। এ গ্রহে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যুদ্ধ এটা। এতে বিজয়ীর হাতে উঠবে হোয়াইট হাউসের চাবি। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের চেয়ার আগামী চার বছর দখলে রাখার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। এ জন্য সারাবিশ্বের কোটি কোটি চোখ তাকিয়ে আছে সেদিকে। সঙ্গে আছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ভয়। কঠিন এক অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে ভোটযুদ্ধ। প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন মহারণ হতে যাচ্ছে। তার একদিকে ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। বিপরীতে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প। দু’জনের মধ্যে যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে তাতে জয়ের সুযোগ দু’জনেরই ফিফটি ফিফটি।

সমানে সমান। কার গলায় উঠবে জয়ের মালা। কেউ পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বাকি বিশ্ব। বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি- সবই ঘুরে যেতে পারে। এ জন্যই বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে সবাই। তারা দেখতে চায়- কার হাতে ওঠে হোয়াইট হাউসের চাবি। এবারের নির্বাচনের মতো এমন অনিশ্চিত অবস্থা, উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। কমালা হ্যারিস-ডনাল্ড ট্রাম্প দু’জনের সামনেই ইতিহাস গড়ার হাতছানি। কমালা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের এ যাবৎকালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, যার শুরু একজন প্রসিকিউটর থেকে। একই সঙ্গে তিনি হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

  • কালের কণ্ঠ
  • এসএসএফের লুণ্ঠিত অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কবজায়!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন গত ৫ আগস্ট দায়িত্বরত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা ভল্টে অস্ত্র জমা রেখে গণভবন ছেড়ে চলে যান। পরে অভ্যুত্থানকারীরা গণভবনে ঢুকে পড়লে এক পর্যায়ে ভল্টে রাখা এসএসএফের ৩২টি অত্যাধুনিক অস্ত্রও লুট হয়।

সেই থেকে এ পর্যন্ত ওই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, লুট হওয়া ওই অস্ত্রগুলো হাতবদল হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে।

  • কালবেলা
  • ভোল পাল্টিয়েও মঈনউদ্দীন কমিশনের গদি টেকেনি

গত ১৫ বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের ফরমায়েশি কাজ করার অভিযোগ ছিল। দুর্নীতি দমনে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী ও স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থাটি পরিণত হয়েছিল ‘নখদন্তহীন বাঘে’। সিলেকটিভ মামলার তদন্ত থেকে সরকারঘনিষ্ঠদের ‘ক্লিনচিট’ বা দায়মুক্তি দেওয়া ছিল প্রাত্যহিক কাজ। সরকারের আজ্ঞাবহ সেই দুদক ক্ষমতার পালাবদলেই পুরো ৩৬০ ডিগ্রি ভোল পাল্টে অস্বাভাবিক গতিতে তদন্ত শুরু করে হাসিনা সরকারে মন্ত্রী, এমপি, আমলা, বিতর্কিত ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ঘনিষ্ঠদের।

আগস্টের পর গত আড়াই মাসে দুই শতাধিক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়েছে পাঁচটি মামলা। তবে রকেটগতিতে অনুসন্ধান শুরু হলেও মানা হয়নি দুর্নীতি তদন্তে দুদকেরই নীতিমালা। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ছিল খোদ দুদকের ভেতরেই। সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর কমিশন তাদের গদি বাঁচাতে ভোল পাল্টে ত্রুটিপূর্ণ তৎপরতা শুরু করেছিল। বর্তমান সরকারকে বোঝাতে চেয়েছিল যে, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করার জন্য যথেষ্ট। শেষ পর্যন্ত তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৯ অক্টোবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই কমিশনারসহ পদত্যাগ করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

  • কালের কণ্ঠ
  • বিক্রি কমে ব্যবসা লাটে

বাজারে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানতে দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে টাকার প্রবাহ কমানোর কৌশলে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত। ডলারের উচ্চমূল্য ঘি ঢেলেছে বাজারে। অথচ মানুষের আয় বাড়েনি, বরং জিনিসপত্রের বাড়তি দামে তারা প্রায় দিশাহারা।

উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতায় কাজ কমেছে সাধারণ মানুষের। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে জনজীবনে অস্থিরতা, আস্থাহীনতা। ছোট-বড় সব বিনিয়োগ বা ব্যবসা প্রসারে স্থবিরতা। নিত্য দিনযাপনে মানুষের মধ্যে অস্থিরতার প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সর্বত্র।

  • যুগান্তর
  • স্থগিত বিদেশি ঋণ স্থিতি ৮২৬২ কোটি টাকা

বেসরকারি খাতে স্থগিত করা বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমতে শুরু করেছে। ঋণ ও সুদের বোঝা কমাতে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপকভাবে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করছে। এতে কমছে সব ধরনের ঋণের স্থিতি।

গত সরকারের শেষ সময়ে জুলাইয়ে এ খাতে ঋণের স্থিতি ছিল ৮৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে এসেছে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে। স্থানীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে স্থগিত ঋণ কমেছে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে ২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

  • সমকাল
  • ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলায় পুলিশের খোলনলচে বদলের উদ্যোগ

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে ঘুরেফিরে একই মুখ। রাজনৈতিক পরিচয় ও আর্থিক লেনদেনে বদলি-পদোন্নতি ও নানা ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনায় গেল সাড়ে ১৫ বছর ধরে সমালোচিত পুলিশ। অপেশাদার আচরণ করে অনেকে বারবার পার পেয়েছেন। তাই পুলিশের অবস্থান ছিল জনআস্থার বিপরীতে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে অস্ত্র ব্যবহারের পর ফের সমালোচনার খাতা খোলে তারা। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরই পুলিশ সংস্কারে জোর দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানের পাশাপাশি বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে কমিশনের একাধিক বৈঠকও হয়েছে। সেখানে নানা মত উঠে আসছে। বৈঠক-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা ও পুলিশের খোলনলচে বদলে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ বাহিনীর সামনে।

  • আজকের পত্রিকা
  • জাতীয় পরিচয়পত্রে আরেক ভোগান্তি ‘ম্যাচ ফাউন্ড

নামের বানান, জন্মতারিখ বা ঠিকানার ভুল—জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে নাগরিকের ভোগান্তির শেষ নেই। এনআইডিসংক্রান্ত আরেকটি কম আলোচিত ভোগান্তির নাম ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ (মিল পাওয়া)। একজনের হাতের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে নতুনদের ক্ষেত্রে এনআইডি নম্বর পড়ছে না। এমনকি যার সঙ্গে মিলছে, তার এনআইডি নম্বরও লক হয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষয়ে নাগরিকেরা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারছেন না বলে ম্যাচ ফাউন্ড বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠেছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ম্যাচ ফাউন্ড সমস্যা সমাধানের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার অধিবাসীরা ঢাকার নির্বাচন ভবনে এসে ভিড় করছেন। এ জন্য তাঁরা সময় ছাড়াও বাড়তি খরচের হয়রানির মধ্যে পড়েছেন। আজকের পত্রিকা এ সমস্যার মুখে পড়া কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে।

  • বণিক বার্তা
  • কৃষিপণ্য পরিবহনে রেলওয়ের উদ্যোগগুলো সফল হয়নি

‌কৃষিপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে পরিবহন ব্যয় কমাতে একটি বিশেষ ট্রেন চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ‘‌কৃষিপণ্য স্পেশাল’ নামের এ ট্রেনটিতে সংযুক্ত করা হয় সাতটি লাগেজ ভ্যান, যার মধ্যে একটি ছিল রেফ্রিজারেটেড। ঢাকা-খুলনা রুটে গত ২২ অক্টোবর প্রথম ট্রেনটি পরিচালনা করা হয়। সেই ট্রিপে পণ্য পরিবহন করা হয় ১ হাজার ৮৬০ কেজি। এতে রেলের আয় হয় ২ হাজার ৩২০ টাকা।

২৪ অক্টোবর একই ট্রেন পরিচালনা করা হয় পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে। ৭৬০ কেজি কৃষিপণ্য পরিবহন করে এ ট্রিপে রেলওয়ে পায় ১ হাজার ২৯৬ টাকা। রহনপুর-ঢাকা রুটে ২৬ অক্টোবর পরিচালনা করা ট্রেনটিতে বুকিং হয় মাত্র ২৬০ কেজি কৃষিপণ্য। আয় আসে ৪৮২ টাকা। ‘‌কৃষিপণ্য স্পেশাল’ সর্বশেষ ২৯ অক্টোবর ঢাকা-খুলনা রুটে দ্বিতীয়বার চলে। ১ হাজার ২২৫ কেজি কৃষিপণ্য পরিবহন করে রেলওয়ে পায় মাত্র ১ হাজার ৯১০ টাকা।

  • সমকাল
  • হিমাগার গেটেই কারসাজি, ১৫ টাকার আলু ৬৫

মৌসুমের শুরুতে জয়পুরহাটের কৃষকরা এক কেজি আলু বিক্রি করেছিলেন ১৪-১৫ টাকায়। গত জুনে হঠাৎ করেই আলুর বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। অক্টোবরের শেষে পাইকারিতে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন খুচরা পর্যায়ে এক কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। গত চার বছর ধরে এ ধারা চলে আসছে। কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর আলুর দাম নিয়ে মূলত কারসাজি হয় হিমাগার গেটে। ব্যাপক মজুত থাকার পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বৃদ্ধি করতে থাকেন হিমাগার মালিক, মজুতদার ও আড়তদাররা।

মৌসুমের শুরুতে কৃষকের হাত থেকে বিক্রি হওয়া আলুর দাম এভাবেই বাড়তে থাকে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে কৃষকের ঘরে আলু আসে। ওই সময় স্থানীয় ফড়িয়া, আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু বিক্রি করেন কৃষকরা। পরে তারা হিমাগারে আলু মজুত করেন। এরপর ২-৩ মাস আলু বিক্রি বন্ধ থাকে। বাজারে জুলাই মাসে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। আর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আলুর দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে।

  • আজকের পত্রিকা
  • কুয়াকাটায় সাবেক ৮ এমপি–মন্ত্রীর বিপুল জমি

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। পটুয়াখালীর এই পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কুয়াকাটায় জমি আছে আওয়ামী লীগের সময় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদেরও। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকায় অন্তত আটজন সাবেক এমপি-মন্ত্রীর জমির তথ্য মিলেছে।

কুয়াকাটায় বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাদের নামে সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী খাজা নারগীছ হোসেন, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনা, সাবেক এমপি রানা মো. সোহেল, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের জমি আছে সেখানে।

  • বণিক বার্তা
  • দেশে মৃত্যু নিবন্ধন করা হয় না ৩০% ব্যক্তির

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের অভিজিৎ বিশ্বাসের বাবা গোপাল বিশ্বাস (৯৫) মারা গেছেন প্রায় এক বছর আগে। তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে তিনি তা অবহিত করেননি। এক বছর পর জমি বিক্রির প্রয়োজন পড়লে তিনি জানতে পারেন, বাবার মৃত্যু সনদ থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অভিজিৎ বিশ্বাসের মতো মৃত্যু সনদের বাধ্যবাধকতার কথা জানতেন না রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম। তার মা ফজিলা বেগম এবং বাবা খতিব উদ্দিন মারা গেছেন যথাক্রমে ২০১৬ ও ২০২২ সালে। প্রয়োজন না হওয়ায় তিনিও এতদিন মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করেননি।

  • প্রথম আলো
  • কয়লার অভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন অর্ধেকের নিচে

কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। অথচ উৎপাদন হচ্ছে ৩ হাজার মেগাওয়াটের কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল, ডলারের সংকট ও দরপত্র জটিলতায় কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এতে ৭টি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে পুরোপুরি বন্ধ আছে দুটি। আর চারটিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

পরিবেশবাদীদের আপত্তি থাকলেও সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেই কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দিকে যায় গত আওয়ামী লীগ সরকার। সময়মতো এসব কেন্দ্র উৎপাদনে আসেনি। আবার উৎপাদনে আসার পর নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। বকেয়া বিল জমতে থাকায় চাপে পড়েছে এসব কেন্দ্র। ধাপে ধাপে বিল পরিশোধ বাড়াচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এছাড়া প্রশাসন রাজনীতির কাছে সম্পূর্ণভাবে জিম্মি ছিল; খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে; লেবাননে বিমান হামলায় বাংলাদেশি নিহত; নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রদর্শনী বন্ধ করেছি; মৃতের শোকে হিংস্র বন্যহাতির দলের চিৎকার-তাণ্ডব; ইতিহাস গড়ে চসিক মেয়র শাহাদাত; আ.লীগের পদ বেচে মজনু আঙুল ফুলে কলাগাছ; বাড়ছে লোকসান / খেলাপি ঋণে মরতে বসেছে ফিনিক্স ফাইন্যান্স; রাজবাড়ীতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ছাত্রদলের; আদানির বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে পিডিবি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।