আলিম পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পাল্টা বক্তব্য

জাহিদুল ইসলাম মামুন, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত চলতি বছরের আলিম পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আত্মীয়স্বজনকে পরীক্ষায় সহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়। তবে এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর’ বলে দাবি করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. মোশাররফ হোসাইন বলেন,

আমি জানি, আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ এবছর আমার কোনো আত্মীয় এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী নয়। যারা এসব অভিযোগ তুলেছেন, তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি আরও জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র পরিচালনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং বোর্ডের নির্দেশনা মেনে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চলছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নিয়মিত পরিদর্শনে থাকেন বলে জানান তিনি।

কেন্দ্র কমিটির সদস্য ও হেড মুহাদ্দিস মাওলানা মো. নাজমুল হক বলেন,

আমার ছেলে এখানে পরীক্ষার্থী হলেও আমি কোনো প্রশাসনিক বা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত নই। আমি শুধু প্রশ্নপত্র বিতরণ কাজে যুক্ত, যেখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। ইউএনও স্যারও বিষয়টি জানেন।

এদিকে, কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার মো. মাসুদ আলম বলেন,

আমি নিয়মিত কেন্দ্র তদারকি করছি। কোথাও কোনো অনিয়মের প্রমাণ মেলেনি। যারা অভিযোগ তুলছেন, তারা হয়তো বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশ জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা পরিচালনা করছেন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সচেতন মহল মনে করছেন, পরীক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে যাদের কঠোর ভূমিকা রয়েছে, তাদের সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।