পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৮.৪ শতাংশ, সঞ্চালন মূল্য ৫.৩ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে গড়ে ৫.৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। বাড়তি দাম ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। বিল দিতে হবে এপ্রিলে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুতের দাম ০-৫০ ইউনিট পর্যন্ত বেড়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা, ০-৭৫ ইউনিট ৪ টাকা ১৯ পয়সা, ৭৬-২০০ ইউনিট ৫ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১-৩০০ ইউনিট ৬ টাকা, ৩০১-৪০০ ইউনিট ৬ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১-৬০০ ইউনিট ৯টাকা ৯৪ পয়সা, ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ১১ টাকা ৪৯ পয়সা।
‘‘বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ড (বিউবাে), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বাের্ড (বাপবিবাে) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) আবেদন করে।
কমিশন বিদ্যুৎ সংস্থা/কোম্পানিসমূহের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে ২৮ নভেম্বর ২০১৯ এবং ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখসমূহে এ বিষয়ে গণশুনানি গ্রহণ করে।
বিশদ পর্যালােচনা ও বিশ্লেষণপূর্বক বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় এবং পাইকারি পর্যায়ে বিউবাে-কে সরকার কর্তৃক ভর্তুকি প্রদান এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন।
আইন, ২০০৩ এর ধারা ২২(খ) ও ৩৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন বিদ্যুতের পাইকারি এবং খুচরা মূল্যহার পুনঃনির্ধারণ করেছে।’’